খাদ্যে অপদ্রব্য ও এন্টিবায়োটিকের ক্ষতিকর দ্রব্য মেশানো রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধের সমতুল্য। মঙ্গলবার (০৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেচ ভবনে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) আয়োজিত ‘মানব স্বাস্থ্যে খাদ্য সংযোজন দ্রব্য ও এন্টিবায়োটিকের প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে আলোচকরা এ কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারটান-এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান খান (অতিরিক্ত সচিব)। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলারঞ্জন দাস, অতিরিক্ত সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড: মোঃ ইকবাল রউফ মামুন, অধ্যাপক, রসায়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
নির্বাহী পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘দেশের কিছু অসৎ ব্যবসায়ী তাৎক্ষণিক লাভের আশায় খাদ্যে ক্ষতিকর অপদ্রব্য মিশিয়ে থাকে। খাদ্যদ্রব্যে বেআইনি রং এবং প্রাণিসম্পদে প্রয়োজনের অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে মানবদেহে ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ সহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ হয়ে থাকে। এই ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।’
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ বলেন, ‘জাতীয় পতাকার অবমাননা যেমন রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ- যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, তেমনি খাদ্যে ক্ষতিকর অপদ্রব্য মেশানোর মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি সৃষ্টি করাও রাষ্ট্রদ্রোহের পর্যায়ে পড়ে। এই অপরাধেরও সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।’
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় ড. মোঃ ইকবাল রউফ মামুন বলেন, ‘ক্ষতিকর অপদ্রব্য ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা তৈরি করেছে। এই আইন ও বিধিমালাগুলো যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও ভোক্তা পর্যায়ে সচেতনতার স্তরের উন্নয়ন করতে হবে।’
বারটান পরিচালক কাজী আবুল কালাম (যুগ্মসচিব) এর সভাপতিত্বে এই সেমিনারে খাদ্য ও পুষ্টি সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।