রাঙ্গামাটি জেলাধীন জুরাছড়ি উপজেলায় মঙ্গলবার স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে পরিষদ হলরুমে দুিই দিন ব্যাপী কর্মশালায় প্রথমদিনে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ডঃ মোহাম্মদ জহির উল্লাহ। প্রশিক্ষণ চলাকালে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কো-ইনভেস্টিগেটর সিএইচটি প্রজেক্ট এবং বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) ডঃ মোহাম্মদ জহির উল্লাহ বলেন, পুষ্টি হচ্ছে খাদ্যের প্রতিফলন। খাদ্যে ৬ রকমের পুষ্টি উপাদান থাকে। যথাঃ শর্করা, আমিষ, স্নেহ/চর্বি, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি। বর্তমানে নতুন উপাদান হিসাবে আঁশ সংযুক্ত হয়েছে। প্রতিটি মানুষের বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজনীয় পরিমাণ নিয়মিত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন।
প্রশিক্ষণ প্রদান কালে তিনি আরো বলেনত, পাহাড়ের মানুষ প্রায়রই শুঁটকি মাছ খায়, এজন্য শুঁটকি মাছ রান্না করার সময় কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে রান্না করার পর কীটনাশকের রাসায়নিকের কোন প্রভাব থাকবেনা। এ সময় তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্য করে জানান, বাংলাদেশে প্রায় দেড় কোটি বসতবাড়ি আছে। ১৯৮৮ রিপোর্ট অনুযায়ী মোট বসতবাড়ির মাত্র ১৩ বাড়ি সবজি চাষে আওতাভুক্ত। ভুমিহীনও প্রান্তিক চাষীদের কোন সবজির বাগান নাই বা খুব অল্প পরিমাণে আছে।
ভুমিহীন ও প্রান্তিক চাষীরাই বেশি খাদ্য ও পুষ্টির অনিরাপত্তার মধ্যে থাকে। তাই অপুষ্টির প্রধান কারণ হল অপর্যাপ্ত সবজি গ্রহণ। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পুষ্টির গুনগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত অধিক পুষ্টিমাণ সম্পন্ন শাক-সবজি ও ফল খাদ্য পরিবেশনে প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন। তাই সকল সচেতন কৃষকদের এই বিষয়ে আরো বেশী আগ্রহী গড়ে তোলার জন্য অনুরোধ করেন। একই দিনে কৃষি কর্মকর্তা বিদুৎ কুমার চৌধুরীকে বিদায় সংর্বধনা দেওয়া হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, উউ পবন কুমার চাকমা সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।