২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার আয়োজনে স্কুল মিল কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। রবিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সাভারের বিসিডিএম মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় স্কুল মিল প্রোগ্রামের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত উপায়ে রান্না বিষয়ে আয়োজিত প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচকরা এই বিষয়ে আলোকপাত করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী এর সহযোগে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের এই প্রশিক্ষণ প্রদান করছে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী সেশনে বারটান-এর নির্বাহী পরিচালক ঝরনা বেগম (অতিরিক্ত সচিব) এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দারিদ্র পীড়িত এলাকায় স্কুল মিল প্রকল্প-এর পরিচালক মো: রুহুল আমিন খান (যুগ্মসচিব), জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি প্রতিষ্ঠান-এর ন্যাশনাল নিউট্রিশন সার্ভিস-এর লাইন ডিরেক্টর ড. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত পরিচালক এ কে এম মনিরুল আলম ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর প্রতিনিধি স্নেহ লতা।
মো: রুহুল আমিন খান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সরকার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এখন যারা প্রাথমিকের শিক্ষার্থী তারাই সেই উন্নত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। তাই আমাদের আজকের এই কর্মসূচীর লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্মাণ।
বারটান-এর নির্বাহী পরিচালক ঝরনা বেগম বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। এই প্রশিক্ষণ যারা গ্রহণ করবেন তারা এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান স্কুল পর্যায়ে উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট, ২০১৯ তারিখে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে এক বেলা খাবার কুকদের মধ্যে এই জ্ঞান সম্প্রসারণ করবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট, ২০১৯ তারিখে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে এক বেলা খাবার কুকরা পুষ্টিমান অক্ষুণ্ন রেখে নিরাপদভাবে রান্না করতে পারেন। এটি নিশ্চিতকরণে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার করতে হবে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী এর প্রতিনিধি স্নেহ লতা বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে বিদ্যালয়গামী শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণে অন্তত এক তৃতীয়াংশ খাবার তার স্কুল চলাকালীন গ্রহণ করা প্রয়োজন। আর স্কুল মিল প্রদান করা হলে শিশুদের স্কুলে উপস্থিতি বাড়ে, ঝরে পড়ার হার কমে যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট, ২০১৯ তারিখে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে এক বেলা খাবার দেয়ার ব্যবস্থা রেখে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী ২০১৩ সাল থেকে স্কুল মিল কর্মসূচী নিয়ে কাজ করছে। চলমান দারিদ্র পীড়িত এলাকায় স্কুল মিলপ্রকল্প-এর আওতায় ১৬টি উপজেলায় ২১৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে স্কুল মিল কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে সরকার। সেখানে রান্নার দায়িত্বে থাকা কুকদের (বাবুর্চি) নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত উপায়ে রান্না বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য বারটান-এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী (০৮-০৯ সেপ্টেম্বর এবং ১১-১২ সেপ্টেম্বর ) প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এই প্রশিক্ষণ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আছেন বারটান-এর ঊর্ধ্বতন প্রশিক্ষক ড. রাজু আহমেদ এবং ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তাসনীমা মাহ্জাবীন।