জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির ঐতিহাসিক সব মুহুর্তে সক্রিয় ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেচ ভবনে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকীতে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তারা এ বিষয়ে আলোকপাত করেন।
আলোচনা সভার শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ঘাতকের বুলেটে শাহাদত বরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
বারটান-এর নির্বাহী পরিচালক ঝরনা বেগম-এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বারটান-এর পরিচালক কাজী আবুল কালাম (যুগ্মসচিব) , বারটান-এর অবকাঠামো নির্মাণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প পরিচালক এসএম শিবলী নজির (যুগ্মসচিব)-সহ বারটান এর সকল পর্যায়ের কর্মচারীবৃন্দ।
বারটান পরিচালক কাজী আবুল কালাম বলেন, এটা অন্তত দুঃখজনক বিষয় যে বাঙালির স্বতন্ত্র সত্তার স্বপ্ন বাস্তবায়নকারী ব্যক্তি সপরিবারে ঘাতকের বুলেটে নিহত হয়েছেন। তার মতো সম্মোহনী ক্ষমতার অধিকারী নেতার অভাব এখনকার সমাজে অনুভূত হয়। তাই তার জীবন ও রাজনীতি সম্পর্কিত রচনাগুলো পাঠ করা এবং সেটা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করা অতীব জরুরি।
বারটান-এর অবকাঠামো নির্মাণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প পরিচালক এসএম শিবলী নজির বলেন, ১৯৪৭-এর দেশভাগ, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাঙালি জাতির ইতিহাসের দিকপরিবর্তনকারী সকল প্রয়োজনে সবসময়ই কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বর্তমানে স্বাধীনতার লক্ষ্যে সংগ্রামরত জাতিগুলো বঙ্গবন্ধুর মতো নেতৃত্বের অভাব অনুভব করছে।
নির্বাহী পরিচালক ঝরনা বেগম বলেন, বঙ্গবন্ধুর একটা প্রায় অলৌকিক ক্ষমতা ছিল মানুষকে তার আদর্শে প্রভাবিত করার। তার কথা বিনাপ্রশ্নে মেনে নিয়ে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এমন নেতৃত্বের গুণাবলী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিরল।
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর জীবন এবং কৃষিখাতে তার অবদান বিষয়ে কৃষি তথ্য সার্ভিস নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।