রেস্তোরা ও বাড়িতে অণুজৈবিক দূষক সংবলিত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও গ্রহণের ফলে মানুষ ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বুধবার রাজধানীর সেচ ভবনে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) আয়োজিত সেমিনারে ‘খাদ্যে দূষণ এবং স্বাস্থ্য ও পুষ্টির উপর এর প্রভাব’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. ইকবাল রউফ মামুন এই কথা বলেন।
ড. ইকবাল বলেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থার এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে ৭০ শতাংশ মানুষের ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার কারণ অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও গ্রহণ। আমাদের দেশে খাদ্যচক্রে পরিচ্ছন্নতা ও এর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে। বাংলাদেশের আর্দ্র আবহাওয়ায় উন্মুক্ত ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত ও গ্রহণ সম্পর্কে ভোক্তা পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং উদ্যোক্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
তিনি যোগ করেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খাবারের মান, রান্নার পরিবেশ, পণ্যের মান, পরিবেশনা, পরিবেশনকারীর ও অবকাঠামোগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন নির্দেশক বিবেচনায় নিয়ে ঢাকার ৫৭টি হোটেলকে গ্রেডিং সিস্টেম এর আওতায় আনা হয়েছে। অণুজীব ঘটিত সংক্রামক রোগ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে পরিচ্ছন্নতার উপর বেশি জোর দেয়া হচ্ছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারটান-এর নির্বাহী পরিচালক আশ্রাফ উদ্দিন আহমেদ (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, ভোক্তাদের নিরাপদ খাদ্যগ্রহণ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য খাদ্যের পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত বার্তাগুলো মাঠ পর্যায়ে পৌছিয়ে দিতে হবে। বারটান ফলিত পুষ্টি বিষয়ে প্রশিক্ষণে খাদ্যের পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে থাকে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বারটান পরিচালক কাজী আবুল কালাম (যুগ্ম সচিব), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারটান এর অবকাঠামো নির্মাণ ও কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প পরিচালক, এস এম শিবলী নজির (যুগ্ম সচিব)। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বারটান-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।