দক্ষ জনসম্পদের উপর নির্ভর করেই দেশ দারিদ্রমুক্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট-এর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত বোর্ডসভায় তিনি এ কথা বলেন।
মাননীয় কৃষি মন্ত্রীর বোর্ডসভার শুরুতে তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেশ ও জাতি গঠনে পুষ্টির গুরুত্ব তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে পারলে দেশে দারিদ্র থাকবে না। খাদ্যভিত্তিক পুষ্টিবিষয়ক প্রশিক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে কর্মক্ষম ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলে পুষ্টিহীনতা দূরীকরণ, বেকার সমস্যা সমাধান ও স্বকর্মসংস্থান সম্ভব।
বোর্ডসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বারটান বোর্ড সদস্য সাংসদ অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ (সিরাজগঞ্জ-০৩), স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম বাবু (নারায়ণগঞ্জ ০২), কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আরিফুর রহমান অপু ও কমলা রঞ্জন দাশ, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, খাদ্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক সহ অন্যান্য বোর্ড সদস্যগণ। সভায় সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বারটান-এর নির্বাহী পরিচালক ঝরনা বেগম (অতিরিক্ত সচিব) এবং পরিচালক কাজী আবুল কালাম (যুগ্মসচিব)। বারটান অবকাঠামো সম্পর্কে বোর্ডকে অবহিত করেন বারটান-এর অবকাঠামো নির্মাণ ও কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প-এর পরিচালক এস.এম শিবলী নজির (যুগ্মসচিব)।
বোর্ডসভা শেষে মন্ত্রী নবনির্মিত বারটান প্রধান কার্যালয়-এর বিভিন্ন অবকাঠামো এবং গবেষণাগার পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বারটান-এর অবকাঠামো নির্মাণ ও কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে খোজখবর নেন। গবেষণাগার পরিদর্শনের সময় মন্ত্রী বারটান-কে ফলিত পুষ্টি গবেষণার আঞ্চলিক পীঠস্থান (Center of Excellence) হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ফলিত পুষ্টি বিষয়ে গবেষণা ও প্রশিক্ষণের আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পীঠস্থান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ভুক্ত বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)। খাদ্যভিত্তিক পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে কর্মক্ষম ও দক্ষ জনশক্তি সৃজন, পুষ্টিহীনতা দূরীকরণে কাজ করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ১০০ একর জমির উপর প্রধান কার্যালয় নির্মাণাধীন রয়েছে, এছাড়া বিভাগীয় পর্যায়ে আরো ০৭টি আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।