জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা কর্মকৌশলে পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে। বুধবার রাজধানীর সেচ ভবনে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) আয়োজিত ‘জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং কৃষি ও পুষ্টি পরিস্থিতির উপর এর প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারটান-এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান খান (অতিরিক্ত সচিব)। কাজী আবুল কালাম, যুগ্মসচিব, বারটান-এর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ফজলে রাব্বি সাদিক আহমেদ, পরিচালক (পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন), পিকেএসএফ।
প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে জনাব রাব্বি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চুক্তি এবং বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী ২১০০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দুই রকমের কর্মকৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন (Climate Change Mitigation) যার মূল উদ্দেশ্য, কার্বন ডাই অক্সাইডসহ অন্যান্য গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানো। দ্বিতীয় কর্মকৌশল হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন (Climate Change Adaptation) কৌশল যা পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার পথনির্দেশ করে।’
তিনি যোগ করেন, ‘খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে খাদ্য উপাদানের সহজলভ্যতা, খাদ্যে জনগণের অভিগম্যতা এবং পর্যাপ্ত পুষ্টির বিষয়টি সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। জলবায়ু পরিবর্তন খাদ্য উপাদানের সহজলভ্যতা ও অভিগম্যতার (Accessibility) উপর চাপ তৈরি করেছে যা পুষ্টি পরিস্থিতির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে।’
নির্বাহী পরিচালক, বারটান মোঃ হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘পুষ্টিস্তর প্রত্যাশিত পর্যায়ে উন্নয়নের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য সহ সরকারের ২২টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ পুষ্টিস্তর উন্নয়নের কাজে সংশ্লিষ্ট। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে পুষ্টিস্তর উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধি করতে হবে।’
সেমিনারে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।