Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

কালানুক্রমিক ইতিহাস

বারটান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ধারাবাহিক ইতিহাস

আত্মনর্ভিরশীলতার মাধ্যমে পুষ্টি সমস্যা সমাধান কল্পে ১৯৬৮ সনে ঢাকার অদূরে জুরাইনে উহা "ফলতি পুষ্টি প্রকল্প (Applied Nutrition Project)" হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায় যা ১৯৭৯ইং সালে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) নামে নামকরণ করা হয়। 

১.  কৃষি মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বাজেটের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রশাসনিক নির্দেশনা মতে এই প্রকল্পের প্রাথমিক কার্যক্রম  শুরু হয়। 

২.  পুষ্টি সমস্যার সমাধানে ফলিত পুষ্টি প্রকল্পের অসামান্য সাফল্য ও উৎসাহ ব্যঞ্জক প্রেরণার ফলস্বরূপ ১৯৭৯ সালে বাংলাদশে ডায়াবেটিক সমিতির ১৫৪তম পরামর্শ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবষেণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) নামে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করা হবে এবং এর কার্যক্রম সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে।

৩.    কৃষি মন্ত্রণালয় বারটান প্রকল্পটিকে জুলাই ১৯৮০ সাল হতে জুন ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য অনুমোদন করে এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর পরিচালনা পর্ষদে সম্পৃক্ত ছিল। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের সহায়তায় প্রকল্পটির কার্যক্রম  জুন ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত চলমান থাকে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই বরিশাল, নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকাতে (পরবর্তীতে সুনামগঞ্জে) ৪টি আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।  

৪.    জুলাই ১৯৯৩ সনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর জনবল রাজস্বখাতে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হলে বার্ক কর্তৃক বারটানকে অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেয়া হয়।  

৫.    জুলাই ১৯৯৩ সালে প্লানিং কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প হিসাবে বারটান প্রকল্পটি চলমান হয় এবং একনেক এর মাধ্যমে ১ বছররে জন্য এডিপিতে অর্ন্তভূক্ত হয়। 

৬.    ১৭.০৪.১৯৯৪ তারখিে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আন্তঃ মন্ত্রণালয় সভাতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে বারটান প্রকল্পটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বাজেটে  স্থানান্তরিত হবে। 

৭.    প্রকল্পটির সামগ্রিক মূল্যায়নের পর আইএমইডি বারটান এর ৪৫টি পদের জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য সুপারিশ করে এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৪৫টি পদের জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের অনুমোদন দেয়। 

৮.    ০১.০১.২০০০ ইং ক্যাবিনেট সভায় পুনরায় বারটানকে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বোর্ড হিসাবে নামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে ৩০.১২.২০০১ ইং তারিখে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ভেটিং শেষে ১০ জানুয়ারী ২০০২ তে বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়। বারটানের স্ট্যার্টাস অটোনোমাস বডি হিসাবে নির্ধারণকরা হয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রশাসনিক আদেশ জারী করা হয়। 

৯.    বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বোর্ড এর বিদ্যমান পদসমূহের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত ছিল না যে সেগুলি রাজস্ব খাতে থাকবে না কি অন্য কোন খাতে থাকবে । পরর্বতীতে সচিব পর্যায়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বোর্ড অধ্যাদেশ ২০০২ এর ১৪ ধারা মতে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বোর্ড এর ৪৫টি পদ যথারীতি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হয়েছে।  

১০.    এর পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই ২০০৪ হতে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বোর্ড এর কার্যক্রম সমূহ রাজস্ব খাতের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এখনও চলমান আছে। 

১১.    বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বোর্ড এর ব্যবস্থাপনা বোর্ডের ১ম সভা ৩ এপ্রলি ২০০৭ ইং তারিখে কৃষি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বোর্ডকে জোরদারকরণ বিষয়ে খসড়া অধ্যাদেশ তৈরীর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  


১২.    এ উপলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি)কে নিয়ে ১০ (দশ) সদস্যের একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়। 

১৩.    বোর্ডের কার্যাবলীর ধরণ ও অবস্থা বিবেচনা করে সাব-কমিটি পুনরায় বারটান নামকরণের সুপারিশ করে। সাব-কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ব্যবস্থাপনা বোর্ডের ২য় সভায় বারটান নামকরণ অনুমোদিত হয়।

১৪.    প্রস্তাবিত খসড়া অধ্যাদেশটি একটি আইন হিসাবে প্রস্তুত করে ২০০৯ সালে সংসদীয় সভায় উপস্থাপন করা হয়। যা পরবর্তীতে ব্যবস্থাপনা বোর্ডের ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ এবং ৭ম সভায় সংশোধন করা হয়।  

১৫.    বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) আইন- ২০১২ (২০১২ সনের ১৮ নং আইন) মহান জাতীয় সংসদে পাশ হয় যা ১৯শে জুন, ২০১২ ইং তারিখে বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়। 

১৬.    উক্ত আইনের ১৯(৫) ধারায় উল্লেখ আছে যে, বিলুপ্ত বোর্ড এর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী,  ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হিসাবে ইনস্টিটিউটে ন্যস্ত হইয়াছেন বলিযা গন্য হইবেন এবং তাদের ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের চাকুরীর শর্তাবলী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে । 

১৭.    বারটানের কার্যক্রম জোরদারকরনরে লক্ষ্যে নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায় মেঘনা নদীর  পাড়ে বারটানের প্রধান কার্যালয় স্থাপনের জন্য ২০১২ সালে ৩৫ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১০০ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়। ২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭০ একর জমিতে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করা হয়।জুলাই, ২০১৩ হতে জুন, ২০১৭ পর্যন্ত ৪ বছর মেয়াদে ১৭৮.২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) এর অবকাঠামো নির্মান ও শক্তিশালীকরন প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইদহ ও সুনামগঞ্জ জেলায় আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপনকল্পে প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে ঝিনাইদহ জেলায় ৪.৮৮ এবং সুনামগঞ্জ জেলায় ৫.০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত প্রকল্পের অধীন প্রধান কার্যালয়সহ (আড়াইহাজার. নারায়নগঞ্জ)৭টি আঞ্চলিক কেন্দ্রের (বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, ঝিনাইদহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, রংপুর ও নোয়াঘালী জেলা) জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। প্রধান কার্যালয়সহ ৭টি আঞ্চলিক কেন্দ্রের জন্য অফিস ভবন, গবেষণাগার, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ডরমেটরী ভবন, স্কুল ভবন, মসজিদ ও আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়।

১৮.   বারটানের গবেষণাসহ অন্যান্য কার্যক্রম জোরদারকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) এর প্রধান কার্যালয়সহ ৭টি আঞ্চলিক কেন্দ্রের জন্য মোট ২৫৭টি (কর্মরত ২০টি ও নতুন ২৩৭টি) পদ অস্থায়ীভাবে রাজস্ব খাতে সৃজনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালযে যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি ২৫৭ (দুইশত সাতান্ন)টি পদ অনুমোদন দেয়। যার ফলশ্রুতিতে কৃষি মন্ত্রণালয় ৩১.১২.২০১৫ তারিখে সরকারী আদেশ (জিও) জারী করে। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের প্রবিধানমালা ১১.৭.২০১৬ তারিখে, সরকারের পুর্বানুমোদনক্রমে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকুরী প্রবিধানমালা, ২০১৬ নামে প্রণীত হয়।